রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

এক নারী খেকো প্রতারক সম্বন্ধে বলছি

এক নারী খেকো প্রতারক সম্বন্ধে বলছি

আমাদের ভদ্র সমাজে এক শ্রেণীর নারী খেকো পুরুষ মানুষের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। এরা ছলে বলে ও কৌশলে ধনবান ও সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে। অত:পর টার্গেটকৃত নারীর অটোবায়োগ্রাফি স্টাডি করে এবং সেই ফর্মূলা অনুযায়ী টার্গেটকৃত নারীকেল আবেগীয় ছলনাময় প্রেমের জালে বন্দী করে। এভাবে যখন মেয়েরা তাদের পছন্দ করতে শুরু করে- তখন রমনীমোহন প্রেমিক পুরুষটি ভোগ করে সুন্দরী নারীর দেহ আর লুন্ঠন করে ধনবান নারীর অর্থ-সম্পদ। এমন এক ব্যক্তির কুকর্মের কয়েকটি ফিরিস্তি প্রকাশ করা হলো।
প্রথমত: আমাদের অনুসন্ধানে ও ফুটেজে এমন নারী খেকো এক পুরুষের সন্ধান মিলেছে। যার নাম রিপন। কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকায় ভাড়া থাকে। পৈতৃক বাড়ী করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়নে। রিপন যদিও ভাল পরিবারের ছেলে কিন্তু তার পিতার মৃত্যুর পর সে বেপরোয়া হয়ে পড়ে। জড়িয়ে যায় অবৈধ নারীসঙ্গ আর ব্ল্যাক মেইলিংএর মতো গর্হিত কাজে।
রিপন নিজেকে করিমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আওলাদ সাহেবের ভাতিজা বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু নাসির উদ্দিন আওলাদ সাহেবের কাছে রিপনের পরিচয় জানতে চাইলে- উনি জানান, রিপন উনার রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় নন। রিপনের পিতার সংঙ্গে উনার পরিচয় ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আওলাদ সাহেব আরও জানান, কয়েক বছর পূর্বে করিমগঞ্জের জনৈক ওসিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বদলীর ব্যবস্থা করে দিবে। এমন আশ্বাস দিয়ে দেড়লক্ষ টাকা ব্ল্যাক মেইলিং করে।
দ্বিতীয়ত: দুই সন্তানের জনক রিপন তার বিবাহিত জীবনকে গোপন করে- কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া গাছ বাজার এলাকার জনৈক এক তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফাসায়। এবং তরুনীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তরুনীর নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
তৃতীয়ত: রিপন বর্তমানে গুনধর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু নিজেকে জাহির করে জেলা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে। অনেক সময় আওয়ামীলীগের কিছু ডাকসাইটে নেতা আবার কখনও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি দেখিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ করে।
চতুর্থত: মেয়েদেরকে মায়ার জালে, প্রেমের ছলনায় আকৃষ্ট করতে তার ফেইসবুক আইডিতে বিভিন্ন ছবি যেমন- দেশের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল হোটেলের নীল পানিতে গোসল করা; কখনও সে পার্কে ঘোড়ার উপরে, আবার কখনও বিলাসবহুল গাড়ী ড্রাইভ করা, কখনও বা সমুদ্র সৈকতে বেড়ানো প্রভৃতির ছবি প্রদর্শন করে। উল্লেখ্য যে, ইদানিংকালে রিপন তার মায়া জালে বন্দী করেছে- শহরের আখড়াবাজার এলাকার সুন্দরী এক পার্লার মালিককে। সুন্দরী ও ধনবান পার্লার মালিক বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও রিপনের প্রেমে বিভোর। ঐ সুন্দরী মহিলার স্বামী চট্টগ্রামে চাকুরীরত। আর এই সুযোগে মামা নামধারী ঐ নারী খেকো রিপন সারাদিনের অধিকাংশ সময় পার্লারের সুন্দরী মালিককে নিয়ে আবেগ ও প্রেমময় সময় কাটায়। এই বিষয়টা নিয়ে আশ-পাশের দোকানদারসহ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে, পার্লারের পার্শ্ববর্তী কাপড় ব্যবসায়ী জনৈক খাদিজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

 

মনিরুজ্জামান শাহানশাহ
উপ-বিভাগীয় সম্পাদক
একুশে টাইমস্

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana